'অভিশপ্ত পা*-এর কাহিনী'
একবার এক দেশের একজন রাজনীতিবিদ গাড়ি করে এক সেমিনারে বক্তৃতা দিতে যাচ্ছিলেন তখন রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যালে তার গাড়ি দাঁড়ালে গাড়ির গ্লাসে এক বৃদ্ধ ভিক্ষুক এসে টোকা দিয়ে কিছু বলতে থাকেন, যেন ভিক্ষা চেয়ে চলেছেন!
বৃদ্ধ গ্লাসে টোকা দিতেই থাকলে রাজনীতিবিদ মহোদয় বিরক্ত নিয়ে গ্লাস নামিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
-কী সমস্যা তোমার, কি হয়েছে?
তখন বৃদ্ধ বললেন,
-কয়টা ট্যাকা দেবেন! ক্ষুধা লাগিছে! খাবার খাবো!
রাজনীতিবিদ মহোদয় বিরক্ত নিয়ে বললেন,
-টাকা নেই! মাফ করো!
বৃদ্ধ লোকটি রাজনীতিবিদ মহোদয়ের কথা শুনে রাগে কাঁপতে কাঁপতে বললেন,
-'খাইলাম না তোর ট্যাকায় ভাত! কিন্তু মিথ্যা কথা কইলি না আমার লগে? তোর পকেটে পনেরো হাজার তিনশো বাষট্টি ট্যাকা আছে তাও মিথ্যা কইলি আমারে? তোরে অভিশাপ দিলাম আমি! এখন থেকে তুই জীবনে যতবার মিথ্যা বলবি ততবার আওয়াজ কইরা পাদ দিবি! ফুঁ!
বৃদ্ধের কথা শুনে রাজনীতিবিদ মহোদয়ের পাশে বসা পিএ বৃদ্ধকে জোরে ধমক দিলেন! বৃদ্ধ আবার রাগ নিয়ে বললেন;
-কুত্তার বাচ্চা চামচার ঘরে চামচা! চামচামি করছ ওটার? তোরেও অভিশাপ দিলাম! এখন থেকে তোর স্যার মিথ্যা বললে পাদ দেবে আর সে যতবার মিথ্যা বলবে ততবার তুই হাইগ্যা দিবি প্যান্টে! ফুঁ!
সিগন্যাল ছাড়লে রাজনীতিবিদ মহোদয়ের গাড়ি চলতে শুরু করলো কিন্তু রাজনীতিবিদ মহোদয় আর তার পিএ লজ্জায় কেউ কিছু বলছেন না তবে তিনি সত্যি সত্যি ভয় পেয়েছেন কারণ বৃদ্ধের কথা সত্যি! তার পকেটে পনেরো হাজার টাকা আর কিছু ভাংতি আছে! তিনি পকেট থেকে সেগুলো গুনে দেখেন সত্যি পনেরো হাজারের সাথে খুচরো তিনশো বাষট্টি টাকা আছে!
বৃদ্ধ নিশ্চয় ঝড়ে বক মেরেছেন! তিনি সেমিনারে পৌছে সেমিনারে বক্তব্য কী দেবেন তা ভাবতে ভাবতে বৃদ্ধের কথা সাময়িকভাবে ভুলে গেলেন।
সেমিনারে গিয়ে রাজনীতিবিদ মহোদয় ষ্টেজে বক্তৃতা দিতে উঠে সবাইকে সম্বোধন জানিয়ে বললেন,
-বিরোধী দল আমার নামে নানান কথা ছড়াচ্ছে! তারা বলছে আমার নাকি সিঙ্গাপুরে বাড়ি আছে, সুইস ব্যাঙ্কে টাকা আছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা!
এইটুকু বলতেই রাজনীতিবিদ মহোদয় সেমিনার হল কাঁপিয়ে শব্দ করে পাদ মেরে বসলেন আর তার পাশে দাঁড়ানো পিএ প্যান্টে হাগু করে দেন!
সেমিনারে থাকা মানুষজন রাজনীতিবিদ মহোদয়ের পাদের শব্দে হো হো করে হেসে দিলে রাজনীতিবিদ মহোদয় দৌড়ে হল ছাড়েন আর তার পিএ দৌড়ান বাথরুমের দিকে!
রাতে বাড়িতে ফিরে তিনি ব্যাপারটা কারো সাথে শেয়ার করবেন ভাবছেন কিন্তু লজ্জায় শেয়ার করতে পারছেন না! তবুও স্ত্রীকে ডেকে বললেন,
-আমাকে একটা প্রশ্ন করোতো! যেকোনো প্রশ্ন করো!
তার স্ত্রী অবাক হয়ে বললেন,
-কী হয়েছে তোমার?
রাজনীতিবিদ মহোদয় ধমক দিয়ে বললেন,
-আরে যেকোনো প্রশ্ন করো না!
তার স্ত্রী বললেন,
-তোমার নাম কী?
রাজনীতিবিদ প্রথমে সত্যি নাম বলেও পরে মনে পড়লো তাকেতো মিথ্যা বলতে হবে তখন তিনি একটা মিথ্যা নাম বলতেই ঘর কাঁপিয়ে আবার অপকর্ম করলে তার স্ত্রী অবাক হয়ে বললেন,
-এইটা কী করলে তুমি?
রাজনীতিবিদ মহোদয় সাথে সাথে তার পিএ কে ফোন করে বললেন,
-তুমি কি প্যান্টে হাগু করে ফেলেছো?
পিএ কাঁদো কাঁদো গলায় বললেন,
-আজ্ঞে হ্যা স্যার! আপনি নিশ্চয় আবার মিথ্যে বলেছেন?
রাজনীতিবিদ মহোদয় বৃদ্ধের অভিশাপে সত্যি সত্যি মিথ্যা কথা বললেই পাদ মারেন আর তিনি যতবার মিথ্যা বলেন তার পিএ ততবার প্যান্টে হাগু করেন!
তিনি দেশ বিদেশে বড়ো বড়ো ডাক্তার দেখালেন তবুও কেউ তার এই সমস্যার সমাধান করতে পারলেন না!
কিন্তু রাজনীতিতে থাকতে হলে মিথ্যা না বলে উপায় নেই! আর এতদিনের মিথ্যা বলা অভ্যাস ত্যাগ করতেও পারছেন না তিনি! তবুও অনেক চেষ্টা করেও তিনি মিথ্যা বলা ছাড়তে না পারলে অসুস্থ হয়ে পড়েন আর তার এই ঘটনা দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়লে তার বাড়ির সামনে সাংবাদিকরা ভিড় করে তাকে একনজর দেখার জন্যে!
এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন পত্রিকা তার এই পাদ দেওয়া নিয়ে নিউজ করা শুরু করলে তিনি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে একদিন আত্মহত্যা করে বসলেন!
তার আত্মহত্যায় সবচেয়ে বেশি খুশি হন তার পিএ কারণ এখন তার স্যার এখন নেই, তাই মিথ্যে বলতেও পারবেন না তাই প্যান্টে আর হাগু করতে হবে না তাকে! এই খুশিতে তিনি বাড়িতে ছেলেমেয়েদের সাথে আনন্দ করতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ প্যান্টে হাগু করে দেন!
বেচারা ছেলেমেয়েদের দিকে তাকিয়ে কাঁদো কাঁদো গলায় বললেন,
-'জীবনেও তোমরা রাজনীতিবিদ হয়ো না, মরে গিয়েও এরা মিথ্যা বলা ছাড়ে না!'....
©উshaস চttopaধ্যায়~