Friday 4 June 2021

মিছে গর্বের কাহিনী ...

ক' বছর আগে খুব কাছের এক বন্ধুর উপর রাগ করেছিলাম, খুবই সামান্য এক বিষয়ে।


প্রতিদিন সুযোগ না হলেও প্রায়ই দুজনের দেখা হতো, কিন্তু! কি জানি কি মনে করে আমরা কেউই কারো সাথে কথা বলতাম না। একদিন পাড়ার দোকানে আমরাই দুজনে মুখোমুখি, বন্ধু মুচকি হেসে বললো - 'কিরে! কেমন আছিস?'
আমি সেদিন অহেতুক একটু বেশি ঘ্যাম নিয়ে নিয়েছিলাম, উত্তর দিইনি আর। ভেবেছিলাম দু-একদিন পর ঠিক করে নেবো সবকিছু। মনে মনে যে খুশি হইনি তা নয়, 'সেই তো তুই আগে আসলি,' এরাম একটা ভাব ছিল আমার মধ্যে!

বন্ধুটি আমার দুদিন পরই বাইক এক্সিডেন্টে মারা গেলো! সুযোগ দিলোনা আমাকে কিছুরই...

আমার আর ঠিক করা হলো না বন্ধুত্বটা!

জিনিসটা আজও আমায় গভীর ভাবে নাড়া দেয়! নিজেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারিনা। চোখ বন্ধ করলেই মনে হয়, বন্ধু আমার মুচকি হেসে বলছে -  "সেদিন একটু কথা বললে তোর কি খুব ক্ষতি হতো? যাক্ এখন তোর গর্বের সাথে ভালো থাকিস!"

মানুষের জীবন আর কচুপাতার জলের ভেসে থাকার মধ্যে বিশেষ কোনো তফাৎ নেই, ক্ষণস্হায়ী জীবনে মান অভিমানগুলোও পুষে রাখাটা বোকামী। হঠাৎ করে কখন যে কে কাকে বিবেকের কাছে অপরাধী করে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে যাবে বলা খুব মুশকিল।

যতোক্ষণ পর্যন্ত সুযোগ আছে ততোক্ষণ পর্যন্ত ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত, নিঃস্বার্থ ভাবে!
নিজেকে বাহাদুর বা সুপেরিয়র ভাবার কোনো কারণ আদৌ নেই, মানুষের ফুসফুস আর বেলুনের মধ্যে বিশেষ কোনো পার্থক্যও নেই, দুটোতেই হাওয়া ভরা থাকে, আনুমানিক পাঁচশো মিলিলিটার।
হাওয়া কে তো ধরে রাখা যায়না। বায়বীয় পদার্থ, উড়ে যায়, উড়ে যাবেই!

মাত্র পাঁচশো মিলিলিটার হাওয়ার গর্বে গর্বিত মালিক হয়ে, ইয়া বড়ো ভাব নেওয়াটাই আসলেই ব্যাপক মূর্খতা!

©Uষস চttopaধ্যায়~

No comments:

Post a Comment